ছুরিকাঘাতে নিহত ঝুমা কর্মকার বগুড়া জেলার শেরপুর পৌরসভার উত্তর সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনায় তার মেয়ে পূজা কর্মকারকে (২১) আটক করেছে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ।
মেয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ঝুমা কর্মকার নামে এক নারী (৪৫)। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পবানা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মেয়ের ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা যায়, পূজা কর্মকার ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সন্মান) পড়েন। মঙ্গল বার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা থাকায় তিনি তার মা ঝুমা কর্মকারের সাথে একটি বাসে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
বেলা সাড়ে ১২ টায় বাসটি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পবানা বাজার এলাকায় পৌছলে জানালা দিয়ে তার বই পড়েছে বলে পূজা জানান।
চালক বাস থামালে পূজা, তার মা ঝুমা ও বাসের হেলপার বই খুজতে নীচে নামেন। এসময় পূজা ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে তার মায়ের গলায় ও হাতে আঘাত করে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে ঝুমা কর্মকারকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ও পূজাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের প্রতিবেশীরা জানান, পূজা কলেজে পড়ার সময় এক মুসলিম শিক্ষকের সাথে প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন। ওই শিক্ষকের বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনার নিশিন্দারা এলাকায়। কয়েক মাস আগে তিনি তার সাথে পালিয়ে যান।
পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। এর পর থেকেই পরিবারে পূজা অবান্তর আচরণ করতেন। এছাড়াও ঢাকায় পড়ার সময় মাদকে আসক্ত হন। এজন্য তাকে বাড়িতেই রাখা হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার আগের দিন তার মা তাকে মাইক্রবাসে করে নিয়ে যেতেন, আবার পরের দিন নিয়ে আসতেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, “লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন গত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।“