রাজধানীতে নারী সরবরাহ চক্রের মূলহোতাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। রাজধানীর অভিজাত এলাকার বিভিন্ন হোটেল এবং ফ্ল্যাটে সুন্দরী নারীদের সরবরাহ করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়া চক্রের মূলহোতাসহ ৫ জনকে আটক করেছে (ডিবি) গোয়েন্দা শাখা। আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম গুলশান এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো তাসনিয়া বেলা (১৮), মো: মানসিব হায়াত (১৯), মো: সৌরভ ইসলাম (২৫), সাকিব আহম্মেদ (২৭) ও সামিনা আলম নীলা (৫৫)।
জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা মহানগর এলাকায় নারী সরবরাহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ঢাকা মহানগরীর গুলশান, বনানীর মতো বিভিন্ন এলাকায় হোটেল এবং ফ্ল্যাটে নারী সরবরাহ করে থাকে। তাদের এসব কাজে সাকিব এবং চৈতি নামের একটি মেয়ে সামিনা আলম নীলার সাহায্যে নারী সরবরাহ চক্র গড়ে তোলে। সাকিব এবং চৈতি বিভিন্ন এলাকার গিয়ে মানুষের সঙ্গে মিশে কাস্টমার জোগাড় করে। সামিনা আলম নীলার সাহায্যে কাস্টমারের নিকট ভিন্ন বয়সী মেয়েদের সরবরাহ করে থাকে।
সামিনা আলম নীলা তার স্বীকারোক্তিতে বলেন, তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার নারীকে বিভিন্ন কাস্টমারের কাছে সরবরাহ করেছেন। এ ছাড়া মাদক ব্যবসাও করেছেন তিনি।
রাজধানীতে নারী সরবরাহ চক্রের মূলহোতাসহ আটকের বিষয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, এই চক্রের মূলহোতা সাকিব নিজেকে একজন সচিবের ছেলে বলে সবার কাছে পরিচয় দিয়ে কাস্টমার জোগার করে।
যেখানে নারীদের পাচার করতো সেইখানে কাস্টমার এবং নারী উভয়ের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে পরবর্তীতে তাদের থেকে বড় অংকের টাকা আদায় করতো। নারী সরবারাহের পাশাপাশি তারা নারীদের দিয়ে মাদক ও ইয়াবা সরবারাহ করতো। । তাদের বিরুদ্ধে আইননুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপির গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: রাজীব আল মাসুদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে খিলগাঁও জোনাল টিমের টিম লিডার মো: সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের আটক করা হয়েছে।