নারায়ণগঞ্জের আদালত চত্বরে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আদালত থেকে বের হওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হামলার শিকার হন তিনি। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে, তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি আনিসুল হককে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদিরের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সকালেই কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। রিমান্ড শুনানি শেষে এজলাস থেকে বের করার সময় উত্তেজিত জনতা ও আইনজীবীরা তাকে কিল-ঘুষি ও চর-থাপ্পড় মেরে ধাওয়া দেয়। পরে দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ আনিসুল হককে প্রিজন ভ্যানে তুলে জেলা কারাগারে নিয়ে যায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গুলিবিদ্ধ হন ১৯ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ সোলায়মান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় নিহত সোলায়মানের ভগ্নিপতি শামীম কবির সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, দীপু মনি, জুনায়েদ আহমেদ পলক, শামীম ওসমানসহ ৫১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও।