শনিবার মধ্যরাত ও রোববার ভোরে পরপর দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চল। এই হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি বিভাগ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
নিহতদের মধ্যে উত্তর ইসরায়েলের একটি শহরে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, এ শহরটি ফিলিস্তিনি-ইসরায়লি অধ্যুষিত এবং নিহতরা সবাই খাতিব পরিবারের সদস্য। এলাকাটিতে আশ্রয়ের পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় হতাহতের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।
রোববার (১৫ জুন) ভোরের দিকে মধ্য ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরে ৬০ বছর বয়সি এক নারী নিহত হন। দেশটির জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম জানায়, ওই হামলায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এছাড়া হামলার প্রভাবে তেলআবিব ও রামাত গান অঞ্চলেও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত এসব এলাকায় অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে, তবে সেসব অঞ্চলের সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনো প্রকাশ হয়নি।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হামলার আগেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল। হামলার পর সেই নির্দেশনা তুলে নেওয়া হয়েছে, তবে অনেক এলাকাতেই এখনো আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, যেসব এলাকায় আরব ইসরায়লিরা বাস করে, সেখানে আশ্রয়ের সুবিধা সীমিত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলকভাবে বেশি হয়েছে।