গাজা উপত্যকার পশ্চিম খান ইউনিসে ইসরায়েলি এক হামলায় শহীদ হয়েছেন ফিলিস্তিনি পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। গাজার জেনারেল ডিরেক্টরেট অব পুলিশ নিশ্চিত করেছে, নিহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আহমেদ আল-দারবাশি ছিলেন খান ইউনিস পুলিশ স্টেশনের পরিচালক। আল জাজিরার বরাতে এই তথ্য জানা গেছে।
এক বিবৃতিতে গাজার পুলিশ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েও তারা তাদের দায়িত্ব থেকে এক চুলও সরে আসবে না। “আমাদের প্রধান দায়িত্ব বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। দখলদার বাহিনীর বিদ্বেষপূর্ণ তৎপরতা আমাদের অঙ্গীকারকে দুর্বল করতে পারবে না।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার ধারাবাহিকতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বারবার টার্গেট করার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর হস্তক্ষেপ জরুরি। “আমরা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় পরিচালিত একটি বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী। আমাদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক নীতিমালার লঙ্ঘন,” বলা হয় বিবৃতিতে।
এদিকে গাজা থেকে ছোড়া রকেট প্রতিহত করার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। শনিবার (১২ এপ্রিল) তারা জানায়, গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি বসতি লক্ষ্য করে ছোড়া তিনটি রকেট সফলভাবে আটকানো হয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
ইসরায়েলি বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রকেট ছোড়ার আগে সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়। পরে বিমান বাহিনী দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, হামলাগুলো খান ইউনিস থেকে চালানো হয়, যার লক্ষ্য ছিল গাজার কাছে অবস্থিত নীর ইতজাক, সুফা এবং হুলিত নামের অবৈধ বসতিগুলো।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলি বসতি লক্ষ্য করে স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, এটি ছিল দখলদার বাহিনীর আগ্রাসনের জবাব।
গাজা অঞ্চলে দিন দিন উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি এখন এ অঞ্চলের দিকে—পাল্টা-পাল্টি হামলার এই চক্র থামিয়ে একটি স্থায়ী ও মানবিক সমাধানের আহ্বান ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।