গাজা, ইয়েমেন, লেবানন ও সিরিয়ায়, একদিনে এই চারটি দেশে একযোগে সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (০৫ মে) এসব দেশে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার (০৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আল-জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয় এই আক্রমণ। একইসঙ্গে লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনেও চালানো হয় বিমান হামলা।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ইয়েমেনের হোদেইদা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত এবং ৪০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে
এছাড়া লেবানন ও সিরিয়ায় চালানো হামলার বিস্তারিত উল্লেখ না থাকলেও আঞ্চলিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল ইরানঘনিষ্ঠ যোদ্ধা ও গুদামঘর।
গত রবিবার গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার পরিকল্পনা অনুমোদন করে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। পরিকল্পনায় গাজার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং সেখানে দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইতোমধ্যে হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা ডেকে পাঠিয়েছে। তাদের ভাষায়, বাকি জিম্মিদের উদ্ধারের পাশাপাশি হামাসকে ‘সম্পূর্ণভাবে পরাজিত’ করাই এই অভিযানের উদ্দেশ্য।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে রোববার সন্ধ্যায় নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে গাজায় আক্রমণ জোরদারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই সোমবার সকাল থেকে একযোগে চার দেশে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
এই চার দেশের হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইতোমধ্যে বেসামরিক প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।