ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের গাজার নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল বারহুম নিহত হয়েছেন। মাত্র এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে তিনি উপত্যকাটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
গত ১৮ মার্চ ইসরায়েলি হামলায় গাজার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিস নিহত হন। এরপর তার স্থলাভিষিক্ত হন ইসমাইল বারহুম। তবে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে তাকেও হত্যা করা হলো।
দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ বারহুমের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (২৪ মার্চ) রাতে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। ওই হামলাতেই ইসমাইল বারহুম নিহত হন। হামাসও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
হামাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইসমাইল বারহুম নাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই ইসরায়েলি বাহিনী তাকে টার্গেট করে হত্যা করে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, “রোববার সন্ধ্যায় গাজার খান ইউনিসে প্রতিরক্ষা বাহিনী সফলভাবে জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা ইসমাইল বারহুমকে নাসের হাসপাতালে হত্যা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “বারহুম গাজার হামাস সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং নিহত প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।”
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও বিবিসি অ্যারাবি ইসরায়েলি এই হামলার দৃশ্য ধারণ করেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, আলজাজিরার এক সাংবাদিক নাসের হাসপাতালের সামনে থেকে লাইভ সম্প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে মিসাইল সদৃশ কিছু একটি হাসপাতালে আঘাত হানে।
হামলার পরপরই হাসপাতালে আগুন ধরে যায়। এতে আরও আটজন আহত হন। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও হাসপাতালটি নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে, যা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে।