ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি ক্লিনিকে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯ জনই শিশু। বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত জাতিসংঘ পরিচালিত এই ক্লিনিকে হামলা চালানো হয়। এই ক্লিনিকটি যুদ্ধবিধ্বস্ত ও উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার পর ভবনটিতে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়, ফলে বেশ কয়েকজনের মরদেহ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।
এটি প্রথমবার নয়; ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যামূলক অভিযানের সময়ও এই ক্লিনিকে বিমান হামলা চালানো হয়েছিল।
বুধবার সকাল থেকেই গাজা উপত্যকাজুড়ে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এদিন আরও কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ১ হাজার ৪২ জনেরও বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি।
এদিকে, গাজায় সামরিক অভিযান আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, গাজার বিশাল এলাকা দখল করে তা ইসরাইলের নিরাপত্তা অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। তবে ঠিক কতটুকু এলাকা দখল করা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি তিনি।
গাজার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক মহল ইসরাইলের এই নৃশংস হামলার নিন্দা জানালেও এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।