ভারতের গুজরাটে একটি সমন্বিত অভিযান চালিয়ে ৫৫০ জনেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেয় গুজরাট পুলিশ, এবং তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও অ্যান্টি-হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট।
অভিযানটি শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) গভীর রাতে শুরু হয়ে চলে শনিবার সকাল পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি আটক করা হয় সুরাট শহর থেকে—সেখানে ১০০ জনের বেশি সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে, আহমেদাবাদের চান্দোলা এলাকা থেকে প্রায় ৪৫০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিসিপি অজিত রাজিয়ান। অভিযান শুরু হয় রাত ৩টা নাগাদ এবং এতে অংশ নেয় অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা ও জোন-৬ টিম।
গুজরাট পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রাজদীপ সিং নাকুম জানান, আটক ব্যক্তিরা কেউই বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে দেশটিতে বসবাস করছিল।
তিনি আরও বলেন, “সুরক্ষা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযানটি চালানো হয়। এখন যাচাই-বাছাইয়ের পর সংশ্লিষ্টদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।”
যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার শরদ সিংহলের মতে, এই অভিযান সরাসরি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার ও মহাপরিচালকের নির্দেশে পরিচালিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর আগেও চলতি এপ্রিল মাসেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। সেই সময় ১২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং ৭৭ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজরাটে অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে উদ্বেগ আরও বাড়ছে। ভারত সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার স্বার্থে এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।