যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে বক্তব্যের সময় দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং গুলি তার কান ছিঁড়ে বের হয়ে গেছে।
২০০ ফুট দূর থেকে হামলাকারী ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এদিকে হামলার পর-পরই ট্রাম্পকে দ্রুত মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবশ্য আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির এই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মাত্র ২০০ ফুট দূর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী একটি এআর-স্টাইলের রাইফেল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ ফুট দূরত্ব থেকে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বলে একাধিক আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা বিবিসিকে জানায়।
বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ জুলাই) পেনসেলভেনিয়ায় জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করছিলেন, এর কিছুক্ষণের মধ্যে পর-পর গুলির শব্দ শোনা যয়া।
তাৎক্ষণিক সাবেক এই প্রেসিডেন্ট নিচে লুটিয়ে পড়ে নিজেকে আড়ালে রাখেন। এ সময় তার পাশেই ছিলেন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। এরপর তাকে স্টেজ থেকে নামিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রাম্পকে যখন ধরে স্টেজ থেকে নামানো হচ্ছে, সেই সময় তার কানের পাশে ও গালে রক্ত দেখা যায়। স্টেজ থেকে নামার সময় নিজের হাত উঁচিয়ে, মুঠো করে হার না মানার ইঙ্গিত দেখান ট্রাম্প।
এই ঘটনার পর ট্রাম্পের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ট্রাম্পকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে একাধিক মার্কিন বার্তাসংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটক করে হত্যা করা হয়েছে। ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে পর-পর গুলি চালানোর পরই পাল্টা জবাব দেয় পুলিশ। শুটার এবং তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হামলার এই ঘটনাটির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বক্তব্য দেওয়ার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন এবং গুলির শব্দ শুনে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে তাৎক্ষণিক ঘিরে ফেলছেন। তখন ট্রাম্পের মুখ ও কান রক্তাক্ত। সেই অবস্থায় তাকে সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।