দর্শকদের থেকে ১৬ জন বডিগার্ডও জায়েদ খানকে রক্ষা করতে পারেনি। বাংলাদেশের আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান সম্প্রতি মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। মালোশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ক্র্যাফট কমপ্লেক্সে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কবলে পড়েন অভিনেতা জায়েদ খান।
গণমাধ্যম সূত্রে জান গেছে, কুয়ালালামপুরের ওই অনুষ্ঠানে দর্শক যেন কোনোভাবেই কাছে ভিড়তে না পারে এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে এই কারনে জায়েদ খানের জন্য ১৬ জন বডিগার্ড নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারাও অবশেষে জায়েদ খানকে স্থানীয় দর্শকদের কাছ থেকে রক্ষা করতে পারেনি।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ক্র্যাফট কমপ্লেক্সে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে এমন ঘটে ঘটেছে বলে জানালন অনুষ্ঠানের আয়োজক আয়শা আহমেদ।
আয়শা আহমেদ জানান, মালয়েশিয়া থেকে আজ রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে আমরা দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে বিজয় দিবস উৎসব আয়োজন করেছিলাম। এখানে আমরা অভিনেতা জায়েদ খানের জন্য ৪ জন পুলিশ ও ৪ জন সিভিলকে বডিগার্ড হিসেবে নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু জনপ্রিয় অভিনেতা জায়েদ খান আসার আগে থেকেই এখানে নানা ধরনের স্লোগান শুরু তার বিভিন্ন দেশের দর্শকেরা।
তিনি আরও, জানান পরে আমরা অতিরিক্ত আরও জন বডিগার্ড নিয়োগ দেই। দর্শকদের এতো চাপ থাকায় জায়েদ খানকে একবার কাছ থেকে দেখবে ও ছবি তুলবে এসব করতে গিয়ে ১৬ জন দেহরক্ষীও তাকে আর রক্ষা করতে পারেনি। যদিও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা জায়েদ ভাইয়ের কাছে আমরা দুঃখও প্রকাশ করেছি। তবে ভাগ্য ভালো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে জায়েদ খান জানান এখানে দর্শকেরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। তাদের চাপে আমি একটু সাফোকেটেড হয়ে পড়েছিলাম। আমার ১৬ জন বডিগার্ড ছিল কিন্তু পরে দর্শকদের ওই ভিড়ের মধ্যে দেখি তারাও উধাও, আর আমি দর্শকের ভিড়ের মাঝখানে চাপের মধ্যে পরে যাই। পরে অবশ্য আমাকে গ্রিনরুমে ঢুকিয়ে কোনোরকম রক্ষা করা হয়।
কিন্তু এ ঘটনা ভালোবাসা হিসেবে নিয়েছি। সবচেয়ে বড় বিষয় আমি অবাক হয়েছি এখানকার মেয়ে দর্শকদের আগ্রহ দেখে। আমি নাচার সময় তারা প্রায় মঞ্চে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিয়েছিল। আমিও পাল্টা উত্তর দিয়েছি।