ভারতের বেঙ্গালুরুর আনেকল এলাকায় ঘটে গেছে এক লোমহর্ষক ঘটনা। স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে নিজেই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন স্বামী। শুধু তাই নয়, হত্যার পর স্ত্রীর কাটা মাথা হাতে নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করেছেন তিনি।
শনিবার (৭ জুন) ভারতের শীর্ষ গণমাধ্যম এনডিটিভির বরাতে এ খবর জানা যায়।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৩ জুন রাতে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত স্বামীর নাম শঙ্কর, স্ত্রী মানসা। তারা কিছুদিন আগে হিলালিগে গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঘটনার দিন শঙ্কর স্ত্রীকে জানিয়ে কাজে বের হন, ফিরবেন পরদিন সকালে। কিন্তু হঠাৎ কাজ শেষ হওয়ায় রাতেই বাড়ি ফিরে আসেন। তখনই তিনি স্ত্রীর সঙ্গে এক অচেনা পুরুষকে দেখতে পান।
এ দৃশ্য দেখেই তাদের মধ্যে শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। মানসা এরপর বাসা ছেড়ে চলে যান। কিন্তু পরবর্তী কয়েকদিনেও দাম্পত্য কলহ কমেনি। শঙ্করের দাবি, মানসা কয়েকবার ফিরে এসে তাঁকে ‘উত্ত্যক্ত’ করেছেন।
হত্যার আগের রাতেও মানসা ফিরে এসে বাড়িতে হট্টগোল করেন বলে অভিযোগ। তখন ধৈর্য হারিয়ে স্ত্রীকে মারধর করেন শঙ্কর এবং একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শিরশ্ছেদ করেন।
পরে স্ত্রীর কাটা মাথা একটি ব্যাগে ভরে বেঙ্গালুরু গ্রামীণের সূর্যনগর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলার পুলিশ সুপার সি কে বাবা বলেন, “এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বর্বর ঘটনা। ঝগড়ার সময় শঙ্কর মানসাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আমরা তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছি এবং তদন্ত চলছে।”
এ দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে, যিনি এই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই দাম্পত্য কলহের জেরে দাম্পত্য জীবন ছিল চরম উত্তপ্ত।
বর্তমানে শঙ্করকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।