ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও একধাপ এগিয়ে গেল। যুক্তরাষ্ট্র সম্মতি দিয়েছে ভারতকে ১৩১ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ও লজিস্টিক সহায়তা দিতে। এই চুক্তি শুধু সরঞ্জাম কেনাবেচার চেয়ে বেশি কিছু—এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দুই দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতার একটি দৃঢ় সংকেত।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অধীনস্থ ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) এই সম্ভাব্য চুক্তির জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে এবং বিষয়টি কংগ্রেসে পাঠানো হয়েছে। ‘ফরেন মিলিটারি সেল’ প্রক্রিয়ার আওতায় এ সরঞ্জাম সরবরাহ হবে, যা ইন্দো-প্যাসিফিক মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিবেচিত।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানায়, “এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় বাহিনীর সামুদ্রিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি ও সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।”
ডিএসসিএ-র মতে, এই সহায়তা শুধু ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেই নয়, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবেও বিবেচিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে এবং সমুদ্রপথে নজরদারি ও সুরক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে। এই চুক্তি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনারই একটি প্রতিফলন।
উল্লেখযোগ্য যে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহযোগিতা জোরদার হয়েছিল; বাইডেনের সময় সেই সম্পর্ক কিছুটা ধীরগতি ছিল, তবে বর্তমান প্রশাসন তা আবারও জোরদার করছে।