ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে পাকিস্তানের ১১ জন নিরাপত্তা সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। এ ছাড়া (অপারেশন সিন্দুর) ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭৮ জন আহত এবং সাত নারী ও ১৫ শিশুসহ ৪০ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায় পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। খবর : ডন নিউজ।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’র হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে প্রাণ হারান পাকিস্তানের নিরাপত্তা সদস্যরা।
নিহতদের মধ্যে পাক সেনাবাহিনীর রয়েছেন, নায়েক আবদুল রেহমান, ল্যান্স নায়েক দিলাওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইকরামুল্লা, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাহী মুহাম্মদ আদিল আকবর এবং সিপাহী নিসার।
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর শহীদদের মধ্যে আছেন, স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, চিফ টেকনিশিয়ান আওরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, কর্পোরাল টেকনিশিয়ান ফারুক এবং সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির।
আইএসপিআর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে ,‘এই শহীদরা সাহস, নিষ্ঠা এবং অটল দেশপ্রেমের প্রতীক হয়ে থাকবেন। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা সীমান্ত অখণ্ডতা চ্যালেঞ্জ করলে তার জবাব হবে ত্বরিত, পূর্ণ মাত্রার এবং কঠোর।’
উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার সূত্রপাত হয় ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এরপর ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে ইসলামাবাদে সীমিত আকারে সামরিক অভিযান চালায়।
জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ নামে এক প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে। টানা চারদিনের সংঘাতের পর গত শনিবার (১০ মে) উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।