ভারতের হামলাকে ‘যুদ্ধের উসকানি’ আখ্যা দিয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে চালানো এসব হামলাকে দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট অবমাননা হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিটি।
বৈঠকে বলা হয়, মসজিদ, বাসগৃহসহ বেসামরিক স্থাপনায় নারী, পুরুষ ও শিশুদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে এবং এর দায়ভার ভারতেরই নিতে হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির ভাষ্য, জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে। সে অনুযায়ী, সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের ভূখণ্ড রক্ষার সময় পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ভূপাতিত করায় সেনাবাহিনীর প্রশংসাও করা হয়েছে বৈঠকে।
এছাড়া বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি স্পষ্টভাবে জানানো হয়, দেশের জনগণের ক্ষতি বা ভূখণ্ডের ওপর হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না।