দক্ষিণ এশিয়ায় ফের যুদ্ধ-আশঙ্কার ঘনটা? পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দাবি করেছেন, ভারত খুব শিগগিরই, অর্থাৎ আগামী এক থেকে দেড় দিনের মধ্যে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান চালাতে পারে। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে তিনি বলেছেন, তাদের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য’ রয়েছে—যা এই আশঙ্কাকে ভিত্তিহীন নয়, বরং বাস্তব বলে প্রমাণ করে।
পাক তথ্যমন্ত্রী তারার বলেন, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনাকে সামনে রেখে ভারত এ পদক্ষেপ নিতে পারে। ওই ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন, যার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে নয়াদিল্লি। যদিও ইসলামাবাদ শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
তারার হুঁশিয়ারি, “যেকোনো আগ্রাসনের কড়া জবাব দেবে পাকিস্তান। আর এই অঞ্চলে যদি অস্থিরতা বা বিপর্যয় নামে, তার দায়ভার ভারতকেই নিতে হবে।”
এই সতর্ক বার্তায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরাসরি বলেছেন, “ভারতের সামরিক হামলা আসন্ন। পাকিস্তান এখন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, পাকিস্তান কখন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে তা নির্ভর করবে দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে কি না, সেই প্রশ্নে।
কাশ্মীরের হামলার পর থেকেই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ভারত ‘সিন্ধু জলচুক্তি’ স্থগিত করেছে, যা দুই দেশের মধ্যে পানি বণ্টনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। এর পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে—ফলে বেসামরিক বিমান চলাচলেও দেখা দিয়েছে জটিলতা।
ভারতের তরফে এখনো পর্যন্ত কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রয়টার্স এই বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
কাশ্মীরের হামলা প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতোমধ্যেই ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হামলাকারীদের উদ্দেশে। তবে সেই শাস্তির ধরন কেমন হবে, তা স্পষ্ট না হলেও পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।