মুকেশ আম্বানিকে ছাড়িয়ে এশিয়ার বর্তমান শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি। এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তকমা পেলেন ভারতের ব্যবসায়ী গৌতম আদানি। ২০২৩ সালে সম্পদের র্যাঙ্কিংয়ে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি আবারও শীর্ষস্থান দখল করেছেন। ২০২৩ সালে মার্কিনভিত্তিক শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর শেয়ার বাজারে বড় ধরনের ধস নেমেছিল আদানির।
সংবাদ মাধ্যমে বলা হয় , এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তকমা পাওয়ার পরপরই আরও একটি সুখবর পেলেন আদানি। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, হিন্ডেনবার্গ মামলায় সিটের তদন্তের কোন প্রয়োজন নেই। এই মামলায় এসইবিআই’র তদন্তের ওপরই আস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই ঘোষনার পরেই আদানিদের গোষ্ঠীর শেয়ার খুব দ্রুতহারে বাড়তে থাকে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে আদানি গ্রুপের মোট সম্পদ ১ দিনে ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৯৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এর পরেই শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছেন ভারতের সুনাম ধন্য ব্যবসাহী গৌতম আদানি। ১৯৮০ সালে ডায়মন্ড ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন আদানি।
কর্পোরেট জালিয়াতির হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ না স্বীকার করার সত্ত্বেও, আদানি গ্রুপ গত বছরের এক সময়ে বাজার মূল্যে ১৫০ বিলিয়নের বেশি শেয়ার হারায় এবং বিনিয়োগকারীদের, ঋণ পরিশোধ করতে,ঋণদাতাদের প্ররোচিত করতে, এবং নিয়ন্ত্রক উদ্বেগগুলিকে প্রশমিত করতে তিনি বেশ কয়েক মাস ব্যয় করে। চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট স্থানীয় বাজার নিয়ন্ত্রককে তিন মাসের মধ্যে সকল ধরনের তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই আদানি গ্রুপের স্টক বেড়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি পাওয়ায় গৌতম আদানিকে বলতেও শোনা গেছে, আবারও ‘সত্যের জয় হয়েছে’।
আদানি গ্রুপ পরবর্তী দশকে তার ব্যবসায় সবুজ রূপান্তরের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং কয়লা ব্যবসার বাইরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডাটা সেন্টার, নগর উন্নয়ন, বিমানবন্দর এবং মিডিয়াতে তার সাম্রাজ্য বিস্তারের পথ প্রশস্ত করেছে।