সৌদি আরব গত ১৬ মাসে ৫ হাজার ৩৩ জন পাকিস্তানি ভিক্ষুককে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। শুধু সৌদি নয়, একই সময়ে আরও পাঁচ দেশ, ইরাক, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও শত শত ভিক্ষুককে দেশে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি এসব তথ্য জানান। পাকিস্তান পিপলস পার্টির এমএনএ সেহার কামরানের করা প্রশ্নের ভিত্তিতে এই জবাব দেওয়া হয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ছয়টি দেশ থেকে মোট ৫ হাজার ৪০২ জন পাকিস্তানি ভিক্ষুককে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু চলতি বছরেই ফেরত পাঠানো হয়েছে ৪ হাজার ৮৫০ জনকে। আর এই সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরে এসেছেন ৫৫২ জন।
মোহসিন নকভিয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফেরত আসা ভিক্ষুকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা। সংখ্যাটা ২ হাজার ৭৯৫ জন। এরপর রয়েছে পাঞ্জাব, যেখান থেকে ফিরেছেন ১ হাজার ৪৩৭ জন।
তালিকায় আরও আছে খাইবার পাখতুনখোয়া (১, হাজার ২ জন), বেলুচিস্তান (১২৫ জন), আজাদ কাশ্মীর (৩৩ জন) ও রাজধানী ইসলামাবাদ (১০ জন)।
তবে প্রশ্নকর্তা এমএনএ সেহার কামরান গত তিন বছরের তথ্য জানতে চাইলেও মোহসিন নকভি শুধু ২০২৪ সালের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত সময়ের হিসাব দেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশে গিয়ে পাকিস্তানি নাগরিকদের এভাবে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়া দেশের ভাবমূর্তিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। একদিকে যেমন এটি সমাজের আর্থিক সংকটের প্রতিচ্ছবি, অন্যদিকে বিদেশে শ্রমবাজারে পাকিস্তানের অবস্থান দুর্বল করে দিচ্ছে।