শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এটি আয়োজিত হবে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আইসিসির এক ভার্চ্যুয়াল বোর্ড মিটিংয়ে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানায় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইসিসি (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল) আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
বাংলাদেশে গত কয়েক দিনে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এ বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে সংশয় আগে থেকেই ছিলো। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আশার কথা শোনানো হয়েছিলো। এ সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা মো: আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছিলেন, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য একটা ভালো মাইল ফলক হবে।
যেহেতু বাংলাদেশ একটা সংকটকাল পার করছে, একই সাথে যে খেলোয়াররা আমাদের মেহমান হয়ে আসবে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাও আমাদের দায়িত্ব। সব দিক দিয়ে বিবেচনা করলে এটা শুধু ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি রাষ্ট্রীয় বিষয়।
তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় খুব একটা ছিলো না। ২০ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে হতো। মঙ্গলবার আইসিসির বোর্ড সভায় উপস্থিত সকল সদস্যদের পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এরকম একটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এখানে আয়োজিত হতে পারে না।
এ ব্যাপারে বিসিবির পক্ষ থেকেও সম্মতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হলেও বিশ্বকাপের অফিশিয়াল আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের নামই থাকবে। আগামী ৩ থেকে ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এ বিশ্বকাপ।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা উচিত
হবে না বলে জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি।
এর আগে, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয় পার্শবর্তীদেশ ভারত। অস্ট্রেলিয়াও যে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহী নয়। অবশ্য জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা আগ্রহী হলেও শেষ-মেষ বেছে নেওয়া হয়েছে আরব আমিরাতকে। এর পেছনে বাংলাদেশের সাথে সময়ের মিলটিও সামনে এসেছে বলে জানায় ক্রিকবাজ।