আজ বুধবার (০২ অক্টোবর) বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া। এদিন থেকেই দেবীপক্ষের শুরু হয়। শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এই চণ্ডীতেই রয়েছে। এই মহালয়া শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।
পুরাণমতে, এদিন পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এদিন থেকেই শুরু হয় দুর্গাপূজার দিন গণনা। মহালয়া মানেই আর ৬ দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান সম্পন্ন করা হয়।
আগামী বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত আজকে থেকেই সকল জায়গায় দুর্গাপূজার আনন্দধ্বনি শোনা যাবে। এরপর শনিবার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। সারা দেশে আড়ম্বরের সাথে উদ্যাপিত হবে পূজার এই সূচনার দিনটি।
শুভ মহালয়া উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সব মন্দিরে আজ ভোর থেকেই শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হয় এ আনুষ্ঠানিকতার।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সকল অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। ধমীয় শাস্ত্র পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করার দায়িত্ব পান। শিবের দেওয়া বরদান অনুযায়ী কোনও মানুষ বা দেবতা মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর স্বর্গ থেকে দেবতাদের বিতাড়িত করেন এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চান।
ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’ রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের দশটি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহ বাহিনী দেবী দুর্গা ৯ দিনব্যাপীর যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও বধ করেন।