প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে অবশ্যই সহজ করেছে, কিন্তু এর বিপরীত দিকও আছে।
সহজ দিক:
আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের পরিবার ও বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে সহজে সংযোগ করতে পারি। সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেঞ্জার অ্যাপস, ইমেইল ইত্যাদি দ্বারা আমরা যেকোনো সময়ে যেকোনো দূরত্বে যোগাযোগ করতে পারি।
প্রযুক্তি আমাদেরকে অনলাইনে শিক্ষা অথবা সম্পাদনা কাজ করার সুযোগ প্রদান করেছে। আমরা ওয়েব সাইট, মোবাইল অ্যাপস, অনলাইন কোর্স ইত্যাদি ব্যবহার করে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারছি এবং লেখা, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি সম্পাদনা করতে পারছি।
বিপরীত দিক:
সাইবার নিরাপত্তা সমস্যা: প্রযুক্তির উপকারিতা নিয়েই সাইবার অপরাধীর হাতে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনলাইনে গোপনীয় তথ্য চুরি, ফিশিং আক্রমণ, ম্যালওয়্যার ইত্যাদি সাইবার নিরাপত্তা সমস্যার সৃষ্টি করে।সহজে বলতে, প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করে, তবে সেই প্রযুক্তির মিথ্যা ব্যবহার আমাদের অসুরক্ষিত করতে পারে। সে জন্য আমাদের প্রয়োজন সতর্কতা অবলম্বন করা, জ্ঞান, এবং সাইবার নিরাপত্তা প্রয়োগ করা।
হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানের কঠিন নিরাপত্তা উপায় প্রয়োগের পরেও হ্যাকাররা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার সময় আত্মরক্ষার বাধা অতিক্রম করতে পারে।
অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার একটি উপায় হলো “প্রস্তাবনা হ্যাকিং,” যেখানে হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বা অন্য আগ্রহণীয় ব্যক্তিদের প্রয়োগকৃত সামাজিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ পেতে চেষ্টা করে। এই সম্প্রস্তাবনা হ্যাকিং অ্যাট্যাক দ্বারা, হ্যাকাররা প্রয়োগকৃত ব্যক্তির গুপ্ত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং তাদের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ পেতে ব্যবহার করতে পারে।
যেহেতু প্রস্তাবনা হ্যাকিং একটি সামাজিক প্রক্রিয়া, তাদের বিরুদ্ধে আপত্তিমূলক হোস্টিং এবং জনসাধারণের সাথে সামাজিক প্রচার দ্বারা প্রতিরোধ করা সহজ হয় না।
শক্তিশালী এবং গোপনীয় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ যখন তথ্য সুরক্ষা সম্পর্ক আসে। এই পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে বাচার জন্য আপনার অ্যাকাউন্টের সুরক্ষার স্তর উন্নত করা।
নতুন নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ৯০ দিন বা ৩ মাস পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করে।
যেহেতু পাসওয়ার্ড পরিবর্তনে অনেক ক্ষেত্রে আপনি পূর্ববর্তী পাসওয়ার্ডের সাথে সম্পর্ক স্থাপন রেখেন না, এটি হ্যাকারদের পাসওয়ার্ড অনুমান করার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।
আপনার উচিত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, আপনি একই পাসওয়ার্ড অন্যান্য অনলাইন অ্যাকাউন্টে ব্যবহার না করে নতুন পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। এটি সহজ নয়, কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
এছাড়া, আপনি সবসময় সাবধান থাকতে হবে যেন কেউ আপনার পাসওয়ার্ড দেখতে না পারে এবং আপনার প্রাইভেট ইনফরমেশন সুরক্ষিত থাকে।
আমাদের প্রয়োজন প্রতিরক্ষা সুবিধাগুলি গুণমুলভুতভাবে ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট হ্যাক প্রতিরোধ করতে হবে। এই প্রযুক্তির অন্তর্গত সহায়ক উপায় সম্পর্কে আগামীতে অধ্যয়ন করা উচিত যেখানে আপনি আপনার ডিজিটাল প্রস্তুতি বাড়িয়ে তুলতে পারেন এবং সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করতে পারেন।