জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর ১ম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ আদেশ দেন।
মামলার বাদী হিসেবে শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম অভিযোগ করেন, স্বামী মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই শাওনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। শাওন শুধুমাত্র মানসিক নয়, বরং শারীরিকভাবেও নির্যাতন করেছেন তাকে ও তার স্বামীকে।
মামলায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, শাওন তার বাবাকে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণ করে দীর্ঘ সময় একটি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে আটকে রাখেন। পাশাপাশি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সৎ মা নিশিকে ছয় মাস জেল খাটান।
এ মামলায় মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ। আদালতে হাজির হয়ে বাড্ডা থানার দুই পুলিশ সদস্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তারা বলেন, তৎকালীন ওসির নির্দেশে নিশি ইসলামকে আটকের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন এবং ঘটনার অংশ ছিলেন।
অন্যদিকে, মামলার অন্যান্য আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।
আদালতের আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদী নিশি ইসলাম বলেন,“আমরা বিচার চাই। শাওন তার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের উপর অমানবিক নির্যাতন করেছে।”
ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০২৪ সালের শুরুর দিকে, যখন শাওনের বাবা মোহাম্মদ আলী বিয়ের জন্য একটি ম্যারেজ মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেন। সেই সূত্রেই নিশি ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় এবং পরে বিয়ে হয়। এরপর থেকেই পারিবারিক সংকট চরমে ওঠে।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শোবিজ অঙ্গনেও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হবে পরবর্তী নির্দেশনার মাধ্যমে।