গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, প্রশাসন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের নামে একের পর এক মামলা দায়ের করা হয়। জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি চেয়ে অভিযোগ করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। অনেকে আবার আ. লীগকে একেবারে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন।
এর মধ্যে ‘সারডা সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এর নির্বাহী পরিচালক মো: আরিফুর রহমান মুরাদ গত ১৯ আগস্ট আ. লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে একটি রিট করেছিলেন। কিন্তু গত ০১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম মো: আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিটটি খারিজ করে দেন।
এদিকে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো: আসিফ নজরুল রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিশিষ্টজনদের সাথে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন।
এর সভায় গণহত্যায় কোনও বাহিনী বিংবা দলের সম্পৃক্ততায় গুম, খুন ও যৌন নির্যাতনকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং এর সাথে জড়িত রাজনৈতিক দলকে দশ বছর নিষিদ্ধ করাসহ ৮টি সংশোধনীর প্রস্তাব দেন আইন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানান, আ. লীগ ফ্যাসিজম ও গণহত্যার সাথে জড়িত রয়েছে। তার বিচার কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। দল হিসেবে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
আওয়ামী লীগ কীভাবে নিষিদ্ধ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ জানিয়েছেন, সরকারের জায়গায় থেকে আমরা একক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চাই না। এসব জাতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে মতামত নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হলেই আ. লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।