জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।
সোমবার (২৮ অক্টেবর) সকালে হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করা হয়। আগামীকাল রিটের ওপর শুনানি করা হবে বলে জানা গেছ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, হত্যা, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এই সম্পর্কিত প্রমাণ্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, এসব ঘটনায় সংগঠনটির বেশেকিছু সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণের ওপর বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণকে হত্যা করেছে এবং দেশের আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে তারা। বর্তমান সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক, হামলা ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত রয়েছে। এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮-এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।