বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে। সন্দেহ ছিল রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা—যা পরে প্রমাণিত হয় ভিত্তিহীন। তারপর থেকে চারপাশে প্রতিধ্বনিত হয়েছে একটাই দাবি—“ন্যায়বিচার চাই”।
দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে, সেই দাবির প্রতি উচ্চ আদালতের সম্মান জানিয়ে গত ১৬ মার্চ হাইকোর্ট রায় দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ই বহাল রাখেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মাজেদুর রহমান মাজেদ, মুজাহিদুর রহমান, তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, শামীম বিল্লাহ, নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, শামসুল আরেফিন রাফাত, মিজানুর রহমান, মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।
পলাতক মুনতাসির আল জেমির খোঁজ কী এখনো মেলেনি? সে ২০২3 সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
এই রায় শুধু একটি হত্যার বিচার নয়, বরং দেশের শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার বিরুদ্ধে এক জোরালো বার্তা। আবরারের বাবা যেদিন চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেছিলেন, সেদিন তিনি চেয়েছিলেন ছেলের জন্য ন্যায়বিচার। আজ উচ্চ আদালতের রায়ে সেই আকাঙ্ক্ষার পথে আরেক ধাপ এগোলো দেশ।