বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক সংলাপগুলো কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। বাস্তবে কোনো অগ্রগতি নেই।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীতে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন কৃষকদলের আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আলোচনা হচ্ছে, আবার তার জন্য নতুন করে ডাকা হচ্ছে। অথচ কাজের কিছুই হচ্ছে না। আলোচনা আর শুভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আবার ডাকা হয়েছে ২ জুন। বলা হচ্ছে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শুরু হবে। প্রশ্ন হলো, কয়বার উদ্বোধন করবেন? আলোচনা বারবার শুরু হচ্ছে, কিন্তু শেষ কিছু হচ্ছে না।’
সালাহউদ্দিন দাবি করেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা উচিত, এটিই দেশের মানুষের প্রধান দাবি। তার ভাষায়, ‘নির্বাচন পেছানোর কোনও যৌক্তিক কারণ নেই। সরকার যদি জুন পর্যন্ত টানতে চায়, তাহলে সেটি জনআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।’
সংবিধান সংস্কার ইস্যুতে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘সংবিধান কমিশন যদি নিজেদের ইচ্ছেমতো সংস্কার করে, তবে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। জাতিকে ঐকমত্যে নিতে হবে। আর জোর করে চাপিয়ে দিলে সেটা গণতন্ত্র নয়, হবে আরেকটি বাকশাল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এজেন্ডা খুব স্পষ্ট, সংস্কার চাই, কিন্তু তার চেয়েও জরুরি হলো যারা ফ্যাসিবাদের ছত্রছায়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিল, তাদের বিচার। সবাইকে একদিন কাঠগড়ায় আসতে হবে।’
নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। এখন তিনি সরে গেছেন। সেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুনে কেন যেতে হবে? যুক্তি কী? জনগণের ওপর এমন আচরণ আছরের মতো!’