ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে একতাবদ্ধ হয়ে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হলো ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্টের ব্যানারে আয়োজিত এ বিশাল জনসমাবেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে পাঠ করা হয় একটি জোরালো ঘোষণাপত্র, যেখানে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক অবিলম্বে ছিন্ন করার মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিম একজোট না হলে এ নৃশংসতা থামবে না। এখনই সময় দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণের।”
রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুটে আসেন নানা বয়স ও পেশার মানুষ। রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধি, কবি-লেখক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবশালীরা সবাই একত্রিত হন একই দাবিতে—ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী প্রতিবাদ গড়ে তোলা।

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। দলমত নির্বিশেষে সবাই এক কণ্ঠে বলেন, “গাজায় রক্ত ঝরানো থামাতে হবে—এখনই।”
সমাবেশের শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন। তার কণ্ঠে যখন কেঁপে উঠছিল দোয়ার শব্দ, তখন কান্না ভেসে আসছিল উপস্থিত হাজারো মানুষের চোখ থেকে।
সমাবেশে বক্তারা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন, “গণহত্যার দায় এড়াতে পারবে না কেউ। ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।”