আসন্ন ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, জরিমানার পাশাপাশি ক্ষেত্রবিশেষ অভিযুক্ত লঞ্চের রুট পারমিটও বাতিল করা হবে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানসমূহের সুষ্ঠু চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় জুম প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন দেশের বিভিন্ন ফেরি ও লঞ্চঘাটে জেলা প্রশাসকদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথের যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন ঈদে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানসমূহের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
দূরপাল্লার লঞ্চগুলোতে সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীকে অপরাধপ্রবণ নৌপথে বিশেষ টহল পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিসি একটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। যাত্রীরা প্রয়োজনে ০২২২৩৩৬২৭৭৯ ও ০১৪০৪৪৪৩৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করে সেবা নিতে পারবেন।
নৌ দুর্ঘটনা রোধে ঈদের আগের ৫ দিন ও পরের ৫ দিন দিন-রাতে বাল্কহেড (বালুবাহী নৌযান) চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, সদরঘাট বা অন্যান্য ঘাটের ইজারাদাররা যাত্রীদের কোনো হয়রানি বা অতিরিক্ত চার্জ আদায় করতে পারবে না। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেসব জলযানের ফিটনেস নেই, তাদের দ্রুত ফিটনেস সনদ নেওয়ার নির্দেশ দেন উপদেষ্টা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানকে অনুমোদিত ভাড়ার চার্ট প্রতিটি নৌঘাটে টাঙানোর নির্দেশ দেন তিনি।
উপদেষ্টা ঢাকার জিরোপয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।