রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৯ জন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬৪ জন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজধানীজুড়ে, ভারী হয়ে উঠেছে উত্তরা ও টঙ্গীর আকাশ।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকাল ৫টায় ফায়ার সার্ভিস বিষয়টি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।
নিহতদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। তারা হলেন,উত্তরার নয়ানগরের বাসিন্দা ও মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনায়েদ এবং স্কুলটির ইংরেজি ভার্সনের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ। একজন মারা যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, অপরজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
দুর্ঘটনায় আহতদের ছয়টি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট: আহত ৭০, নিহত ২, সিএমএইচ, ঢাকা: আহত ১৪, নিহত ১১, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল: আহত ৮, নিহত নেই, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: আহত নেই, নিহত ২, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল: আহত ৬০, নিহত ১, উত্তরা লুবনা জেনারেল হাসপাতাল: আহত ১১, নিহত ২ ও উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল: আহত ১, নিহত নেই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন,, নিহত জুনায়েদ ছাড়াও তিনজন দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে একজনের শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, বিকেলেই সেখানে মারা যান শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় হাসপাতালগুলোতে স্বজনদের কান্না, বার্ন ইনস্টিটিউটের চারপাশে ভিড় এবং শহরের বাতাসে শোকে ভারী হয়ে উঠেছে। এর আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যেমন জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, ঠিক তেমনি এই বিমান দুর্ঘটনায়ও ব্যথিত করেছে পুরো দেশকে।