বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৪৬টি পরিবারের মধ্যে গরু বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়। তবে বিতরণের সময় ১২টি গরুর ওজন কম থাকায় সেগুলো সরিয়ে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, পরবর্তীতে নতুন গরু এনে পুনরায় বিতরণ করা হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে “সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প” এর আওতায় ৯৬টি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রæয়ারি) সকালে প্রথম দফায় ৪৬টি পরিবারে গরু বিতরণ করা হয়।
দরপত্র অনুযায়ী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘জেন টেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নির্ধারিত ওজনের গরু দেওয়ার কথা থাকলেও বিতরণের সময় ১২টি গরুর ওজন কম ধরা পড়ে। বিষয়টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নিয়ায কাযমীর রহমানের নজরে এলে তিনি আপত্তি জানান। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই গরুগুলো পরিবর্তন করে নতুন গরু সরবরাহ করে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ওমর ফারুক বলেন, “আমরা খামার থেকে নির্ধারিত ওজনের গরু সংগ্রহ করেছি। তবে ভুলবশত কিছু গরুর ওজন কম ছিল, যা পরে সংশোধন করে সঠিক ওজনের গরু বিতরণ করা হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নিয়ায কাযমীর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশীক খান। এসময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ, সুবিধাভোগী পরিবার এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গরু বিতরণে সঠিক ওজন নিশ্চিত করায় সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম রোধে এমন কঠোর তদারকি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।