চট্টগ্রামের পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জায়েদ নূরের অপসারণের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ওপর লাঠিপেটার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন।
বুধবার (২ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ১০টা থেকেই পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। দাবি একটাই, ওসি জায়েদ নূরের অপসারণ।

অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ থানার প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান নেয় এবং একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে। পরে আন্দোলনকারীরা সরে গিয়ে ইন্দ্রপুল বাইপাস এলাকার ঢাকা-কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান নেন এবং সড়ক অবরোধ করেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন, আশরাফুল ইসলাম তৌকির (২১), মো. নাদিম (২১), মো. আয়াস (১৬), মো. আকিল (১৮), মো. ইরফান উদ্দিন (১৮), তাসরিয়ান হাসান (১৮), মো. রায়হান উদ্দিন (২০), সাইফুল ইসলাম (১৭), জাহেদুল করিম শাহী (১৮), মুনতাসির আহমদ (১৭) ও সাইফুল ইসলাম (১৮)।
তাদের মধ্যে কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে রাঙামাটির এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বৈষম্যবিরোধী কর্মীদের লাঠিপেটা করে থানার বাইরে বের করে দেয়।
ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা ওসি ও থানার সেকেন্ড অফিসারের অপসারণ দাবি করেন।
আজকের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালেও আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশ কোনো ধরনের আলোচনায় না গিয়ে লাঠিপেটার পথ বেছে নেয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়ে থানা ফাঁকা করার চেষ্টা চলে।
আন্দোলনকারীরা জানান, ওসি ও সংশ্লিষ্টদের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
ঘটনার বিষয়ে জানতে ওসি জায়েদ নূর ও থানার সেকেন্ড অফিসার আসাদুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।