কক্সবাজারের টেকনাফে ভারি বর্ষণে এ পর্যন্ত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত আট হাজার পরিবার পানিবন্দি আছে বলে জানিয়েছেন ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ৯টা থেকে কক্সবাজারে ভারি থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উপসহকারী পরিচালক তোফায়েল আহমদ বলেন, মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুুর ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
বৃষ্টিতে কক্সবাজারের অন্যান্য উপজেলায় এ পর্যন্ত প্লাবিত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া না গেলেও টেকনাফের অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এরমধ্যে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৮টি গ্রাম, হ্নীলা ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম,
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম, টেকনাফ পৌরসভার ৭টি গ্রাম, সাবরাং ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম ও বাহারছড়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রতিনিধিরা।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, আমার পৌরসভার ৭টি গ্রামের মানুষ এখন পর্যন্ত পানিবন্দি রয়েছে। পানিতে ডুবে আছে টেকনাফ কলেজসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।
এই পৌরসভার ৭, ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডের প্রায় সব ঘরবাড়িসহ চলাচলের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়াও এই এলাকা-গুলোতে মাছের ঘেরসহ লবণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলে, এই ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এগুলো হলো, মহেশখালীয়াপাড়া, লেঙ্গুরবিল, তুলাতুলি, খোনকারপাড়া, মাঠপাড়া ও রাজারছড়া।
কক্সবাজারের টেকনাফে ভারি বর্ষণে ডুবে গেছে ৫০টি গ্রাম বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী জানান, ভারি বর্ষণে ফলে বেশ কিছু গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
পাশাপাশি ভারি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে। তাই বুধবার (১৯ জুন) সকাল থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের অন্যত্রে সরে যেতে বলা হচ্ছে। এ জন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।