আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়ি দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের কাফির বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর গত রাতেই ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন কাফি। সেখানে তিনি অভিযোগ করে লেখেন, মধ্যরাতে আমার বাড়ির ঘর-রান্নাঘর সম্পূর্ণ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। কোন দেশের জন্য কাদের জন্য কথা বলেছিলাম! যুদ্ধ করেছিলাম এবং করছি। নিরাপত্তা পাইনি।
স্থানীয় ওয়ালি উল্লাহ ইমরান বলেন, আমরা আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। পরে তারা এলে তাদের সঙ্গে আমরাও আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করি। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত, কারণ বাড়ির জানালার বাইরে থেকে ছিটকানি লাগানো ছিল। কাফির পরিবারের সবাই এক কাপড়ে নেমে পড়ছে। কোনও রকমে তারা জানে বেঁচে গেছে।
এ বিষয়ে আক্ষেপ করে কাফির বাবা মাওলানা মোহম্মদ এবিএম হাবিবুর রহমান বলেন, আগুনে পুড়ে আমাদের সব কিছুর শেষ হয়ে গেছে, আর কিছুিই নেই। আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচারের দাবি জানাই।
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন বলেন, গতকাল রাত সোয়া ২টার দিকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাসায় আগুন লাগার খবর পাই। পরে তাৎক্ষণিকভাতে ঘটনাস্থলে চলে যাই। সেখান দিয়ে যেয়ে দেখি আগুন সিলিংয়ে উঠে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। বাড়ির পাশের গোয়াল ঘরটাকে নিরাপদ রাখতে পেরেছি। বাড়ির মানুষের কোনও ক্ষতি হয়নি। তারা সবাই নিরাপদে ও অক্ষত আছেন।
প্রসঙ্গত কাফির বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায়। তার বাবা রজপাড়া দ্বীন-এ-এলাহী দাখিল মাদ্রাসার সুপার। তারা দুই ভাই। তিনি করোনার সময় কয়েল ও প্রাক্তনকে নিয়ে করা কনটেন্ট বানিয়ে ভাইরাল হয়েছেন। কাফি ভিডিওর মাধ্যমে দেশের সংকটময় পরিস্থিতিসহ নানা অসংহতি, দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করে থাকেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।