কিশোরগঞ্জে ‘জুলাই গণহত্যা’র বিচার ও ছাত্র অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটি ‘জুলাই দ্রোহ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের শহীদি মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে। পরে মিছিলটি গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আল মামুন। এ সময় জেলা শাখার সেক্রেটারি ফকির মাহবুবুল আলম, বাইতুল মাল সম্পাদক আবু আহমেদ, অফিস সম্পাদক মোজাহিদ বিল্লাহ, ছাত্র আন্দোলনের সম্পাদক এইচ এম ফরহাদ ভূইয়া এবং গুরুদয়াল কলেজ শাখার সভাপতি এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন উপজেলা ও কলেজ শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতি হাসান আল মামুন বলেন, “জুলাই সনদ ও গণহত্যার বিচার বাস্তবায়ন শুধু অতীতের দায় মেটানোর বিষয় নয়, এটি গণতন্ত্রের পথচলায়ও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আমরা অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি। কারণ ছাত্রদের অধিকার রক্ষায় নির্বাচিত নেতৃত্ব অপরিহার্য।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের বাংলাদেশে আবারও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে আমরা দেখতে পাচ্ছি—অপরাধ করে তার দায় অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এই দোষ চাপানোর রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।”
এ সময় তিনি বলেন, “আমাদের শিকড় বাংলাদেশে, দিল্লি, পিন্ডি কিংবা লন্ডনে নয়।”
ছাত্রশিবিরের দাবি, ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রশিবিরের বহু নেতা-কর্মী নিহত হন। সংগঠনটি প্রতিবছর এই ঘটনার স্মরণে ‘জুলাই দ্রোহ’ কর্মসূচি পালন করে।