কিশোরগঞ্জ শহরের নিউটাউন এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে আমিনুল ইসলাম (৩০) নামে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত আমিনুল ইসলাম নেত্রকোনার মদন উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কিশোরগঞ্জ ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের শ্যালক ইয়াসিন মিয়া জানান, সোমবার দুপুরে আমিনুল সর্বশেষ তাঁর মা ও স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ নিউটাউনের বাসায় এসে দরজা বন্ধ অবস্থায় পায়। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না মেলায় পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
ইয়াসিন মিয়া আরও জানান, ঈদের ছুটিতে আমিনুল তাঁর স্ত্রী ও চার বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। সাত দিন পর স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে তিনি কর্মস্থলে ফেরেন। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটল, তা পরিবার জানে না।
পিবিআই কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা খবর পেয়েই রাতেই ঘটনাস্থলে যাই এবং মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।”
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কী কারণে এই পুলিশ সদস্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন, তা এখনো রহস্যঘেরা।