কিশোরগঞ্জ শহরে ৩০ ঘণ্টা ধরে প্রায় ৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে শহরের অন্তত ৭০ হাজার মানুষ। সোমবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শুরু হওয়া ঝোড়ো বাতাসে কয়েকটি বড় গাছ বিদ্যুতের লাইনের ওপর পড়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এটি এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
শহরের গাইটাল শ্রীধরখিলার একাংশ, শিক্ষকপল্লি, গাইটাল পাক্কার মাথা, গাইটাল নামাপাড়া ও কলাপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যাঁদের বাসায় বিদ্যুৎ এসেছে, বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের জন্য তাদের বাসায় লাইন ধরেছেন আশেপাশের মানুষ। দোকানদারেরা বাইরে থেকে আসা সামান্য আলো কিংবা চার্জার লাইটের সাহায্যে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। রাতে যানবাহনে চার্জ দিতে না পারায় দিনে যাত্রী পরিবহন করতে পারেননি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকেরা। এ ছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ক্লিনিকগুলোতেও ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
মিশু সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন মুরাদ বলেন, সোমবার (২৭ মে) সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবনের ভেতরের একটি গাছ বিদ্যুতের লাইনের ওপর পড়ে যায়। এতে ২৬ ঘণ্টারও অধিক সময় পরে কাঠুরে এনে গাছটির ডালপালা কাটেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। ’এটা কিছু হইলো’ ‘এমন অমানবিক হলে চলে’ ৩০ ঘণ্টা পার হয়ে গেল বিদ্যুৎ নেই। জেলা শহরের যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে আর কী বলার আছে।
কিশোরগঞ্জ শহরে ৩০ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহমেদ বলেন, কয়েকটি বড় গাছ বিদ্যুতের লাইনের ওপর পড়ে গেছে। এই গাছগুলো এত বড় গাছ যে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে কাঠুরে এনে গাছ কাটাতে হচ্ছে। গাছ কাটা শেষ হলে লাইন চেক করে বিদ্যুতের সংযোগ চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।