ক্যারিয়ার গড়তে বহুতল ভবন থেকে ফেলে দিয়ে ৭ দিনের এক নবজাতক শিশুকে হত্যার অভিযোগে তার মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কমলপুর নিউটাউন এলাকার ফুলমিয়া সিটির ৯ তলা ভবনে থেকে শিশুটিকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়।
প্রাশকিম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, শিশুর মা তিশা ওসমান, তিশার বান্ধবী সুমাইয়া, কাজের মেয়ে মিম ও শিলাকে থানায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিশুটির মা তিশা ওসমানকে গ্রেপ্তার করে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৭ দিনের নবজাতক শিশুটির নাম তাসনিদ উসমান। তার বাবা ডা. উসমান গণি স্থানীয় একটি হাসপাতালের মালিক এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে নবজাতক শিশুকে খাবার খাইয়ে রাত ২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন মা তিশা ওসমান। তার স্বামী ডা. উসমান গণি ঘুমিয়ে ছিলেন অন্য রুমে। ঘরে শিলা ও মিম নামের কাজের মেয়ে এবং শিশুটির মা তিশা ও তার বান্ধবী সুমাইয়া ছিলেন।
এরপর রাত ৪টার দিকে শিশুর মা তিশার চিৎকারে প্রতিবেশীসহ বাসার সকলেই জেগে ওঠেন। এ সময় তিশা জানান, তার বাচ্চাটি পাওয়া যাচ্ছে না। পরে সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে জানতে পারেন, শিশুটি বাড়ির পাশের একটি ঝোপের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, ডা. উসমান গণির ২য় স্ত্রী তিশা। তিনি কুলিয়ারচর উপজেলা নোয়াগাঁও এলাকার মো: এনায়েত উল্লাহর মেয়ে। তাদের পরিবারে মো: বোরাক নামের দেড় বছরের আরো একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ৭ দিন আগে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তাসনিদ নামে ওই নবজাতকটির জন্ম হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শফিকুল ইসলাম জানান, ক্যারিয়ার গড়তে নবজাতক শিশুটির মা তিশা ৯ তলার বেলকনির জানালা দিয়ে শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তার স্বামী অর্থাৎ শিশুটির বাবা ডা. উসমান গণি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিশুটির মা তিশা ওসমানকে গ্রেপ্তার করে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
নারী জাতি জন্মগত ভাবেই বোকা, আরামপ্রিয়, লোভি। এজন্য এদের ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল