খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরে থাকা মা ও ছেলে দুজনই ঘরসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার (০৫ মে) ভোরে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, মধ্যবেতছড়ি গ্রামের মো: ছাদেক মিয়ার স্ত্রী মোছা: হাসিনা আক্তার (৩০) ও তার শিশু ছেলে আবু হানিফ (৮)। দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিভিয়ে মরদেহ দুটি উদ্বার করেছে।
এ সময় সঙ্গে থাকা আরেক সন্তান মো: হাফিজ (১১) সকালে প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে সে প্রাণে বেঁচে যায়। নিহতের স্বামী ছাদেক মিয়া পরিবহন সংস্থা শান্তি গাড়ির হেলপার। সে গাড়িতে কর্মরত থাকার কারণে বাড়ির বাহিরে থাকায় তিনিও প্রাণে বেঁচে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ভোর ৫টার দিকে আকাশে গর্জনসহ বৃষ্টিপাত শুরু হলে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এ সময় একটি বজ্রপাত ছাদেক মিয়ার বসতঘরের উপর পড়ে। বসতঘরে থাকা ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও ছেলে আবু হানিফ বজ্রপাতে পুড়ে কঙ্কাল হয়ে যায়। এ সময় তাদের সাথে থাকা আরেক ছেলে হাফিজ প্রাণে বেঁচে যায়। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেন।
ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো: নাজমুল ইসলাম বলেন, ভোর ৫টার দিকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান তারা। ঘরের ওপর বজ্র পড়ায় মুহূর্তের মধ্যে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার বলেন, বজ্রপাতে নিহত পরিবারের বেঁচে যাওয়া ছেলে সন্তান হাফিজুর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়নি।
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাতে মা ও ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানার ওসি মো: নুরুল হক জানান, বজ্রপাতে মা ও ছেলে ২জনই একদম পুড়ে ছাই হয়ে গেছেন, মরদেহ চেনার উপায়ও নেই। মরদেহগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।