প্রেমিকাকে পাম্পের জিম্মায় রেখে পেট্রোল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রেমিকে বিরুদ্ধে। বাগেরহাটের রামপালে ফিলিং স্টেশন থেকে পেট্রোল নিয়ে এক কিশোরী প্রেমিকাকে পাম্পের জিম্মায় রেখে পালানোর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে প্রেমিকার বাবা বাদী হয়ে রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রামপাল উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী গত ২৬ জুন (বুধবার) ব্যাগ নিয়ে বিদ্যালয়ে যায়। সেদিন দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার ওপর পেন্সিল কেনার জন্য দোকানে যায় ওই কিশোরী।
এ সময় উপজেলার বাছাড়েরহুলা গ্রামের মো: শহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম সজিব (১৮) ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে তার সাথে মোটরসাইকেল করে বেড়াতে যেতে বলে। এতে সায় দিয়ে ওই কিশোরী নাজমুলের সাথে ভাড়া করা মোটরসাইকেলে উঠে বেড়াতে যায়। ঘুরতে ঘরতে ভাগা বাজার এলাকায় তাদের মোটরসাইকেলের তেল শেষ হয়ে যায়।
এরপর নাজমুল স্থানীয় একটি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে মোটরসাইকেলে পেট্রোল ভরে। এ সময় পেট্রলের টাকা দিতে না পারায় টাকার বদলে ওই কিশোরীকে জিম্মায় রেখে টাকা নিতে বাড়িতে চলে আসে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও ওই কিশোরী বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা-মা চিন্তিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পরিবারের লোজন স্কুলে খোঁজ নেন। সেখান থেকে জানানো হয় তাদের মেয়ে স্কুলে ব্যাগ রেখে বাইরে গিয়ে আর ফেরেনি।
পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই ফিলিং স্টেশনে পাওয়া যায় তাকে। সেখান থেকে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসতে গেলে পেট্রল পাম্পের কতৃপক্ষ জানায় তেলের মূল্য পরিশোধ করলে আপনাদের মেয়েকে ফেরত পাবেন। এ সময় তাদের সাথে কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে টাকা দিয়ে ওই কিশোরীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন তার বাবা।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়। মীমাংসার সময় প্রতিপক্ষ চড়াও হয়ে ওই কিশোরীর বাবাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করেন। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে রামপাল থানায় গাববুনিয়া গ্রামের মো: শহিদুল ইসলাম, মো: হাবিবুর রহমান, প্রেমিক নাজমুল ইসলাম সজীব, ফয়সাল মল্লিক ও মনিরুল ইসলামদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোমেন দাশ জানান, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।