গাজীপুর পুলিশ ও পোশাক শ্রমিক সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। পুলিশের ও পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে মোছাঃ আঞ্জুয়ারা বেগম (২৪) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এই আন্দোলনে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১০ পোশাক শ্রমিক।
নিহতের ননদ আরজিনা বেগম জানায়, আঞ্জুয়ারাকে আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষার করে দুপুর সাড়ে বারোটায় আঞ্জুয়ারা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে জানা, ওই নারী সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার চড়গ্রিস গ্রামের গার্মেন্টস শ্রমিক জামাল বাদশা’র স্ত্রী। গাজীপুরের জরুন এলাকায় ছেলে ও এক মেয়ের সঙ্গে থাকতেন
আঞ্জুয়ারা বেগম। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল ।
পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া গাজীপুর পুলিশ ও পোশাক শ্রমিক সংঘর্ষে নারী নিহত হওয়ার বিষয়ে বলেন, মৃতদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এছাড়া একই এলাকা থেকে জালাল উদ্দীন (৪২) নামে আরেক গার্মেন্টসকর্মী গুলিতে আহত হয়।তাকেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে।
কোনাবাড়ী থানার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ খায়রুল আলম বলেন, নারীশ্রমিক নিহতের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি আহত হয়েছে কীভাবে তা এখনো জানা যায়নি।
গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করে বুধবার (০৮ নভেম্বর) সকাল থেকে । মহানগরীর জরুন ও কোনাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশবাহিনী বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মহাসড়কে উঠতে বাধা দেয়ায় এক পর্যায়ে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে।
পোশাক শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় পুলিশ বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের উপর সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ বিক্ষোভে এক নারী নিহত ও ১০ শ্রমিক আহত হন।