নাটোরের গুরুদাসপুরে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মেহেদী হাসান (২৪) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জরিমানার এই অর্থ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মেহেদী হাসান জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার বৃচাপিলা গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত ও মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে মেহেদী হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টার দিকে প্রেমিক মেহেদী ফোন করে মেয়েটিকে বাড়ির পাশের একটি বাঁশবাগানে ডেকে নেয় এবং সেখানেই জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এরপর রাত গভীর হলেও মেয়েটি বাড়ি না ফেরায় তার মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি বাঁশবাগানে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই রাতেই ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা গুরুদাসপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালতে অভিযুক্ত মেহেদীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল কাদের মিয়া। তিনি জানান, আদালতের রায়ে নির্যাতিতার পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে বলে তারা সন্তুষ্ট।