জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত তিন যুবকের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নিহতরা হলেন, রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানা। সোমবার (২১ জুলাই) সকালে গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ নির্দেশ দেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া চারটি পৃথক মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো উত্তোলন, সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত ও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
প্রথম ধাপে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থানে দাফন হওয়া রমজানের মরদেহ উত্তোলনের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান ওসি।
এর আগে, শনিবার (২০ জুলাই) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার চারজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে চারটি হত্যা মামলা করেন। এর মধ্যে তিনটি মামলায় ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় এবং আরেকটিতে ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ উত্তোলনের পর সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত করে তা তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। ফরেনসিক বিশ্লেষণসহ অন্যান্য প্রমাণ ব্যবহার করে মামলার অগ্রগতি নিশ্চিত করার কথা জানায় পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এত বিপুল সংখ্যক অজ্ঞাত আসামিকে ঘিরে তদন্ত জটিল হয়ে উঠছে। তবে প্রকৃত ঘটনা ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে বিভিন্ন স্তরে তদন্ত চলছে।
এদিকে এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ জেলায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।