বন্যার পানিতে ঘরটাও গেল, খামারও গেল, নিঃস্ব হয়ে গেলাম খামারি আলম। ফেনী সদরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকের ওপর ৪’শ থেকে ৫০০ মুরগির বাচ্চা নিয়ে বসে ছিলেন খামারি মো: আলম। মহাসড়ক থেকে ৫০০ মিটার দুরে তার খামার। তবে এখন সেই খামারটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
খামারি আলম বলেন, খামারে ২ হাজার ৮০০ মুরগি ও মুরগির ৪/৫০০ বাচ্চা ছিল। বন্যার পানিতে ৫ শতাধিক মুরগি ও বাচ্চা ভেসে গেছে। বাকি মুরগি ও মুরগির বাচ্চাগুলোকে আলম ও তার ছেলে তরিঘরি করে ধরে মহাসড়কের বিভাজকের ওপর এনে রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, বন্যার পানিতে খামার ও বসতঘর ডুবে গেছে। বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিয়েছি স্থানীয় এক প্রতিবেশীর বাসায়। অসহায় হয়ে আলম বলেন, বন্যায় আমার ঘরটাও গেল, খামারও গেল। আমি একদম নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
খামারিদের তথ্য সূত্রে জানা যায়, ফেনী সদরে অন্তত ৩০টি খামার রয়েছে। সব কটি খামারই বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। লোকসানে জর্জরিত হয়েছেন খামারিরা।