ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মামুন রহমান ও এএসআই পিপলু বড়ুয়াসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার পর তাদের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
সোমবার ((১৪ জুলাই) তাদের প্রত্যাহার করা হলেও বিষয়টি মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) জানাজানি হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ জুলাই, সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান থামিয়ে দেয় খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি দল। পরে ওই কাভার্ডভ্যানে অবৈধ পণ্য বহনের অভিযোগ তুলে ৯০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে।
ঘটনার জেরে মহাসড়কে যানবাহন আটকে রাখার অভিযোগও উঠেছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুর পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
এই ঘটনাটি সম্প্রচারিত হয় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে আসার পর হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট ছয় সদস্যকে প্রত্যাহার করে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কীর্তিমান চাকমা বলেন, “ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিকভাবে ৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, সত্যতা মিললে যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”