চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সাঙ্গু নদীতে গোসলে নেমে বালুর গর্তে ডুবে দুই জন সহোদর শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (০৪ মার্চ) উপজেলার পুরানগড় নতুনহাটের উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো: মোস্তাক আহমদ সাঙ্গু নদীর নতুনহাটের উত্তর পাশে বালু তুলে গর্ত সৃষ্টি করেছেন। ওই গর্তে ডুবেই আপন দুই ভাই প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহত দুই শিশু হলো, উপজেলার উত্তর পুরানগড় কালিনগর এলাকার প্রবাসী মো: আব্দুল মোনাফের ছেলে মো: কামরুল হাসান মিশকাত (১২) ও মো: ওমর ফারুক মিসবাহ (১০)।
নিহত মিশকাত ও মিসবাহর মা ফাতেমা সুলতানা মুক্তা জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে প্রতিবেশী ২ শিশুকে নিয়ে সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে যায় তার। পরে বিকেল হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তাদের খোঁজ করতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে স্থানীয় এক লোক ওই নদীতে স্যান্ডেল ভাসতে দেখেন।
এর পর বালুর গর্তে নেমে প্রথমে মিসবাহর মরদেহ উদ্ধার করেন তিনি। পরে ওই গর্তে জাল ফেলে বিসবাহর ভাই মিশকাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, আমার স্বামী প্রবাসে থাকে। আমাদের ১টি শিশুকন্যা সন্তান রয়েছে। একসঙ্গে আমার দুই ছেলেকে হারালাম। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব?
এলাকাবাসী জানান, যুবলীগ নেতা মোস্তাক কয়েক মাস ধরে ড্রেজার দিয়ে সাঙ্গু নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন। এর ফলে নদীতে বিশালাকৃতির চোরা গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ওই গর্তে ডুবেই মিশকাত ও মিসবাহর মৃত্যু হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহমদ বলেন, আমি এক সময় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলতাম কিন্তু এখন তা আর করি না। তাঁর দাবি, তিনি নন; বাজালিয়া ইউনিয়ন এলাকার মোস্তাক নামে আরেক ব্যক্তি এখন বালু তুলছে। এর দায় চাপানো হচ্ছে আমার ওপর।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বালুর গর্তে ডুবে ২ সহোদর শিশুর মৃত্যু’র বিষয়ে সাতকায়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার জানান, নিহত শিশুদের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ না দিলে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।