চট্টগ্রাম নগরীতে নেশা কেনার টাকা না দেয়ায় মা রিনা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মো: ওমর ফারুক নামের এক যুবক। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে ঘরে থাকা ছোট বোনের সন্তান শিশু আফরিন (২)। রবিবার (০২ জুন) রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার ভেলুয়ার দিঘি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওমর ফারুককে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত ওমর ফারুক কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার মনিপুর তাতবাড়ি এলাকার মো: আক্তার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার ভেলুয়ার দিঘির উত্তরপাড় এলাকায় একটি ভারা বাসায় রিনা আক্তার তার ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। রবিবার রাত ১০টার দিকে ছেলে বাসায় ফিরে নেশা করার জন্য মায়ের কাছে টাকা চায়। কিন্তু মা রিনা আক্তার ছেলেকে টাকা না দিয়ে নেশা করতে বারণ করেন।
এতে মা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে ছেলে ওমর ফারুক রান্নাঘরে থাকা বটি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মা রিনা আক্তারকে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ অবস্থায় রিনা আক্তারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী মো: আক্তার হোসেন জানান, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় থেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে ওমর। মাঝে মধ্যেই সে টাকার জন্য বাসার জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। রবিবার রাতে বাসায় এসে মায়ের কাছে টাকা চায় ওমর। টাকা না দেওয়ায় রান্না ঘরে থাকা একটি বটি দিয়ে মাকে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে ওমর। এতে মায়ের গলা, বুক ও ২ হাতে আঘাত লাগে। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
আক্তার হোসেন আরো জানান, ‘এমন সন্তান যেন কারো না হয়। আমার কিছু আর অবশিষ্ঠ্য রইল না। পারলে ওকে আমি গুলি করে মেরে ফেলতাম। আমি আমার ছেলের ফাঁসি চাই।’ অপরদিকে, সোমবার (০৩ জুন) সকাল থেকে ঘাতক ওমর ফারুকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে স্থানীয় লোকজনকে।
চট্টগ্রাম নগরীতে নেশা কেনার টাকা না দেয়ায় মা’কে কুপিয়ে হত্যার বিষয়ে পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: কেফায়েত উল্লাহ জানান, এসব সামাজিক অবক্ষয়, ধর্মীয় ও পারিবারিক শিক্ষার অভাব। ছেলে কিভাবে জন্ম দেয়া মাকে খুন করতে পারে? এই ছেলে মাদকাসক্ত। তাকে সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।