কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নিখোঁজ শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (০৯ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে সাগরের ঢেউয়ে ভেসে আসা ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ শনাক্ত করেন তাঁর সহপাঠীরা।
এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বগুড়ার দক্ষিণ ঠনঠনিয়ার অরিত্র হাসান। তাঁর বাড়ি আমিনুল ইসলামের
নিহত আসিফ (২২) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে থাকতেন। তিনি বগুড়া জেলার নারুলি দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনায় ওই দিন সাড়ে ৯টার দিকে শিক্ষার্থী এ কে এম সাদমান রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তাঁদের আরেক বন্ধু অরিত্র হাসান (২২)। তারা চবির একই বিভাগের ও একই হলের শিক্ষার্থী।
সহপাঠী মাহমুদুল হাসান বলেন, ছবি দেখে লাশটি আসিফের নিশ্চিত হয়েছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানাই। আসিফের সঙ্গে সর্বশেষ গত সোমবার দুপুরে কথা হয়েছিল। আসিফের সঙ্গে আমারও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। “প্রথমে মিরিঞ্জা ভ্যালি যাওয়ার কথা ছিল। “আমার যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। ও বলেছিল, টাকা না থাকলেও ওরাই সব খরচ দেবে। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাবে দেখে শেষ মুহূর্তে কক্সবাজার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওরা।”
জানা যায়, আজ সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরারটেক উপকূলে ভেসে আসে এক তরুণের লাশ। তার পরনে ছিল সাদা টি–শার্ট ও হলুদ হাফপ্যান্ট।
সি-সেফ লাইফ গার্ডের আঞ্চলিক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, সাগর উত্তাল থাকায় তীরে লাশ ভেসে আসে। সহপাঠীরা ছবি দেখে মরদেহটি আসিফের বলে শনাক্ত করেন। পরে মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম জানান, “গতকাল সাগরে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে আসিফ আহমেদের মরদেহ আজ সকালে সমিতিপাড়া উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
তিনি আরও জানান, সাগর এতোটাই উত্তাল যে ডুবুরি নামানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্রোতের টানও বেশ প্রবল। তারপরও নিখোঁজ থাকা আরেক শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে আমাদের তৎপরতা চলছে।”