হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পলাতক হেলপার লিটন মিয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার (১৬ জুন) রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত লিটন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ পরিবহনের বাসচালক সাব্বির মিয়ার সহকারী। সাব্বির এ ঘটনার পরদিনই স্থানীয়দের হাতে আটক হন, তবে লিটন পালিয়ে গা-ঢাকা দেন।
র্যাব-৯-এর গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯-এর সিলেট সদর কোম্পানি ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর অপরাধ রোধে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে, রোববার রাতে নবীগঞ্জ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ পরিবহনের বাসে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী ঢাকার একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়েন। তিনি রোববার দুপুরে সায়েদাবাদ থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। গন্তব্য ছিল শায়েস্তাগঞ্জ। তবে যাত্রাপথে বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় নির্ধারিত স্টপেজে নামতে পারেননি।
পরে শেরপুর থেকে তিনি ‘মা এন্টারপ্রাইজ’-এর একটি লোকাল বাসে ওঠেন। রাত ১০টার দিকে বাসটি আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে অন্য সব যাত্রী নেমে যান। তখন বাসের ভেতরে ছিলেন শুধু চালক সাব্বির ও হেলপার লিটন। অভিযোগ অনুযায়ী, এরপর তারা ওই ছাত্রীকে চলন্ত বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ঘটনার একপর্যায়ে ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। বাসটি থামিয়ে চালককে ধরে ফেলেন তাঁরা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে হেলপার লিটন তখন পালিয়ে যায়।
পরদিন সোমবার সকালে ওই কলেজছাত্রী নবীগঞ্জ থানায় গিয়ে মামলা করেন। মামলায় বাসচালক সাব্বির ও হেলপার লিটনকে আসামি করা হয়। সাব্বির নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা।