চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, সকালে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন চাকরিচ্যুত সাবেক বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদস্যরা। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা আন্দোলন শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র উদ্দেশে রওনা হন তারা।
বেলা ১১টার পর মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। এরপর পুলিশ তাদের পথরোধ করে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সেখানে থেমে না থেকে কাকরাইল মোড়ে বসে পড়ে নতুন করে অবস্থান নেন।
তখন পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়,যদি ১০ মিনিটের মধ্যে যমুনা এলাকা না ছাড়েন, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিক্ষোভকারীরা এই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করলে পুলিশ প্রথমে জলকামান ব্যবহার করে, পরে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দে কাকরাইল, সিদ্ধেশ্বরী ও শান্তিনগর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের দোকানপাট দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। ব্যস্ত এলাকায় যান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, ২০০৯ সালের ঘটনার পর তারা বিচার ছাড়াই চাকরিচ্যুত হন। এরপর থেকে পুনর্বহাল ও ন্যায়বিচারের দাবিতে বারবার আবেদন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, এমন অভিযোগও রয়েছে তাদের।
একজন আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা ১৫ বছর ধরে ঘুরছি, কেউ আমাদের কথা শোনে না। আজ তাই আবারও রাস্তায় নামতে হয়েছে।”
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কাকরাইল ও যমুনা এলাকার পরিস্থিতি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তিদের নাম বা সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিছু আন্দোলনকারীকে ‘উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায়’ আটক করা হয়েছে।