চুয়াডাঙ্গায় অতিরিক্ত মদপানে মো: হামিম (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মো: হামিম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া এলাকার দক্ষিণপাড়ার কৃষক মো: মহিবুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যাপীঠের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
জানা গেছে, মৃত্যুর পর সদর হাসপাতাল থেকে নিহত হামিমের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান তার স্বজনরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হামিমের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তিতুদহ (ইউপি) সদস্য মো: শমসের আলী জানান, নিহত হামিমসহ ৪/৫ জন বন্ধু মিলে মদ কিনে তারা একসঙ্গে মদ পান করে। পরে অতিরিক্ত মদপান করায় হামিম অচেতন হয়ে পড়লে তাকে রেখে সবাই চলে যায়। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন হামিমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ঈদের দিন সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হামিম মারা যায়।
তিনি আরও জানান, হামিম অত্যন্ত ভালো প্রকৃতির ছেলে। আমার জানা মতে, সে নেশায় আসক্ত ছিল না। এবার রমজানে ৩০টি রোজিই রেখেছিল সে। এমনকি ঘটনার দিন আমার বাড়িতেও কাজ করেছে হামিম।
চুয়াডাঙ্গায় মদ খাওয়ার দুই দিন পর স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।